উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে সোমবার থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ অবস্থায় আবারও নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। শীতের সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হওয়াই মুশকিল হয়ে পড়েছে।
এর আগে টানা প্রায় এক মাস শৈত্যপ্রবাহ চলার পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থা এক সপ্তাহ চলার পর রবিবার বিকেল থেকেই তাপমাত্রা নিম্নগামী হতে থাকে। রাতে ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো শীত পড়তে শুরু করে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশার চাদরে দিনে সূর্য ঢেকে থাকায় আরও বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। শীতের দাপটে হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট ফাঁকা থাকায় স্তব্ধ হয়েছে গোটা অঞ্চল।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, আজ সোমবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ব্যাহত হয়ে পড়ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এ অবস্থায় দিনমজুর শ্রেণির মানুষ কাজে যেতে না পারায় আবারো পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন।
গরম কাপড়ের অভাবে বিশেষ করে চরারঞ্চলে বসবাসকারী ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো দুর্ভোগ পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সেই সাথে ঠাণ্ডার দাপটে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে। এদিকে শীত বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ ।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা