কিশোর মো. আরাফাত হোসেনকে (১৪) নির্যাতনের পর পুড়িয়ে হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি শ্রাবণ কুমিল্লার আদালতে জামিনের আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়।
সোমবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক ইরফানুল হক চৌধুরী এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো.আবদুল মজিদ খান।
এদিকে ঘটনার ২০ দিন পার হলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি ওই হত্যা মামলার অপর পাঁচ আসামি।
গত ১৫ ডিসেম্বর কুমিল্লা শহরতলির ডুমুরিয়া চাঁনপুর গয়ামবাগিচা (বউবাজার) এলাকায় একটি লেপ তোশকের গোডাউনে আগুনে পুড়ে মারা যায় কিশোর আরাফাত। সে চাঁনপুর ফকির বাড়ির আবদুল বারেকের ছেলে। ঘটনার শুরু থেকেই ওই কিশোরের পরিবারের দাবি, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে আরাফাতকে। তবে ঘটনার পরদিন ১৬ ডিসেম্বর রাতে এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অমতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। ওই মামলায় বাদী করা হয় কিশোরের পিতা আবদুল বারেককে।
সর্বশেষ এ ঘটনায় গত ২১ ডিসেম্বর কিশোরের পিতা বাদী হয়ে আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন আদালত ঘটনাটি আমলে নিয়ে মামলাটি কোতয়ালী থানা পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশনা দেয়। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে থানার এসআই মো. সাইফুদ্দিন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. সাইফুদ্দিন বলেন, আমরা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন