সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য প্রবীণ রাজনীতিক খালেদুর রহমান টিটো আর নেই। যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুর ১টা ১৯ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ছেলে মাসুক হাসান জয় বলেন, ফুসফুসে ইনফেকশনজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিন দিন আগে গত ৭ জানুয়ারি যশোরে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসকদের নিবিড় পরিচর্যায় থাকা অবস্থায় আজ রবিবার দুপুরে ইন্তেকাল করেন তিনি।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী খালেদুর রহমান টিটো এক সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এরশাদ সরকারের শেষ সময়ে ১৯৯০ সালে মে মাসে শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে যশোর-৩ (সদর) আসন থেকে তারই বাল্যবন্ধু তরিকুল ইসলামকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৩ সালে যশোর এমএম কলেজে পড়ার সময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়নে সম্পৃক্ততার মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় খালেদুর রহমান টিটোর।
কলেজজীবন শেষে ১৯৬৭ সালে শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৯ সালের শেষের দিকে কৃষক আন্দোলন জোরদার করতে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৪ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগদান করে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
১৯৮৪ সালের পৌরসভার নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। দুই বছর পর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন এবং ১৯৯১ এর শেষ দিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হয়ে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত