আমন ধান কাটা-মাড়া শেষে অনেকটাই বোরো চাষের জমি তৈরিসহ নানা কাজে ব্যস্ত কৃষকরা। এরই মাঝে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় হতাশ কৃষকরা।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরুর একদিন পরেই স্থানীয় খুচরা বাজারে কমেছে চালের দাম। সেই সাথে কমেছে কৃষকের ধানের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন হাকিমপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
যদিও ধানের দাম কমে কৃষকদের কিছুটা লোকসান গুণতে হচ্ছে। কিন্তু চালের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে দিনমজুরসহ স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে। তবে দিনাজপুর শহরে খুচরা বাজারে চালের দামে এখনো প্রভাব পড়েনি।
হাকিমপুরের হিলি বাজারে দেখা যায়, চাল-আমদানির প্রভাবে সবধরনের চালের দাম কমেছে। প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালে কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা। দুইদিন আগে স্বর্ণা-৫ জাতের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা কেজি দরে, সেই চাল এখন কেজিতে ৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা দরে।
৪৫ টাকার গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, ৫৮ টাকার মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা এবং ৬০ টাকার কাটারি জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে, ধানের বাজারে ধানের দাম কমেছে মণ প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। স্বর্ণা-৫ জাতের ধান কেনাবেচা হতো মণ প্রতি ১২২০ টাকা, সেই ধান এখন মণ প্রতি ১৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০৯০ টাকায়। ১১৫০ টাকার গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৯৯০ টাকায়, ১২৫০ টাকার রঞ্জিত বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকায় এবং ১৯০০ টাকার আতব জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১৬৫০ টাকা দরে।
হাকিমপুরের কৃষক আমজাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন জানান, ভরা মৌসুমে সরকার ভারত থেকে চাল আমদানি করায় ধানের দাম কমে গেছে। আমরা বোরো চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। কারণ ধানের দাম কমলে খরচ তুলতে না পারলে ধান চাষ করে কী হবে।
চাল ব্যবসায়ী স্বপনসহ কয়েকজন জানান, ভারত থেকে চাল আমদানির প্রভাবে বাজারে সবধরনের চালের দাম কমেছে। প্রকারভেদে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। চালের দাম কমায় আমাদের বেচাকেনাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
হিলির ধান ব্যবসায়ী মুসফিকুর রহমান জানান, চাল আমদানির প্রভাবে ধানের দাম কমেছে। প্রকারভেদে প্রতি মণ ধানে কমেছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে। বর্তমানে ধান আমরা ক্রয় করছি না। কারণ ধান কিনে আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল হলে ধান ক্রয় করব।
বিডি প্রতিদিন/এমআই