১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:৪৬

চোখ-মুখ বেঁধে শরীরে ব্লেড চালিয়ে ভাতিজিকে রক্তাক্ত করলো চাচা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

চোখ-মুখ বেঁধে শরীরে ব্লেড চালিয়ে ভাতিজিকে রক্তাক্ত করলো চাচা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় শান্তা আখতার (২৫) নামে ভাতিজিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আপন চাচার বিরুদ্ধে। ওই চাচা তার ভাতিজিকে হাত-পা ও সারা শরীরে ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করেছে। গতকাল রবিবার (১৭ জানুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত শান্তা আখতারকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। শান্তা আখতার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর এলাকার আলগাবাড়ির আইয়ুব মিয়া মেয়ে। শান্তার দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে বাচ্চা রয়েছে। তার স্বামী রাসেল মিয়া রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।

শান্তার মা রওশন আরা জানান, বিকেলে শান্তার খুব মাথা ব্যাথা উঠে। পরে সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার সময় তার আপন চাচা হুমায়ুন মিয়া কয়েকজন যুবক নিয়ে শান্তাকে নাক-মুখে কাপড় দিয়ে চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে দুই হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্লেড দিয়ে কেটে নির্যাতন করেন। চোখ-মুখ বেঁধে সারা শরীরে ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করেন।

আহত শান্তা বলেন, তার ছোট ছেলের সাথে তার চাচা হুমায়ুন মিয়ার ছেলের ঝগড়া হয়েছিল। একে কেন্দ্র করে প্রায়ই তার চাচা মারার হুমকি দিতেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে তার চাচা ও মুখোশ পড়া কয়েকজন যুবক তার চোখ-মুখ, পা ও হাত বেঁধে ফেলে। চিৎকার করলে খুন করার হুমকি দেয়। পরে তার চাচা ব্লেড দিয়ে তার সারা শরীরে আঘাত করতে থাকে। চিৎকার শুরু করলে মা রওশন আরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কোনও পক্ষের অভিযোগ আসেনি। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর