১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৫৭

গৃহবধূকে অপহরণ, গণধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ভাইরাল; ভাসুর গ্রেফতার

গাজীপুর প্রতিনিধি

গৃহবধূকে অপহরণ, গণধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ভাইরাল; ভাসুর গ্রেফতার

মো. সোহাগ মিয়া

ময়মনসিংহ থেকে অপহরণ করে গাজীপুরের শ্রীপুরে এনে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ এবং তার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনার প্রধান আসামি গৃহবধূর ভাসুরকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ সদস্যরা। র‌্যাব-১ এর স্পেশালাইজ কোম্পানি গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতের নাম মো. সোহাগ মিয়া (৩৫)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ভরাডোবা গ্রামের মো. আলাল মিয়ার ছেলে এবং তিনি ওই গৃহবধূর স্বামীর ফুপাতো ভাই (ভাসুর)। সোহাগ মিয়া পেশায় একজন বাস চালক। 

র‌্যাব-১ এর স্পেশালাইজ কোম্পানি গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ভরাডোবা এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে নিজের আসল পরিচয় গোপন রেখে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তার ভাসুর (স্বামীর ফুপাতো ভাই) সোহাগ মিয়া। এর সূত্রধরে গত ৫ সেপ্টেম্বর ভরাডোবা এলাকা হতে ওই গৃহবধূকে অপহরণ করে সোহাগ ও তার বন্ধু। তারা অপহৃত গৃহবধূকে প্রাইভেটকারযোগে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার মুলাইদ এমসি বাজার এলাকায় এনে জনৈক ব্যক্তির বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রাখে। 

পরে সোহাগ ও তার দুই বন্ধু জীবননাশের হুমকি দিয়ে ভিকটিমকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরদিন সকালে ধর্ষকরা ভিকটিমকে অজ্ঞান অবস্থায় রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযুক্ত সোহাগ ওই পর্নোগ্রাফি ভিডিও অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। 

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সোহাগসহ তিনজনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা জয়দেবপুর থানার মনিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার দখল থেকে ধর্ষণের ভাইরালকৃত পর্নোগ্রাফী ভিডিওসহ ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সোহাগ গৃহবধূকে গণধর্ষণ এবং তা ভিডিও ধারণ করে পর্নোগ্রাাফ ভিডিও অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। 

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর