শিরোনাম
২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:০৭

কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

“বাবা, একনা কম্বল চাওং বাবা, শীতত গাও গডগডে কাঁপে। যাওং কডে না যাওং কডে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রচন্ড ঠাণ্ডায় ভিক্ষা করতে আসা জরিমন বেওয়া কথাগুলো বলেন। এলাও কাইয়ো একনা কম্বলও দেয় নাই।’ সকাল সাড়ে এগারোটা বাজলেও সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছিলনা। 

শহরের শাপলা চত্বরে দেখা হলে শীতে কাঁপতে কাঁপতে জরিমন বেওয়া কথাগুলো বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন। অনেক আগেই স্বামী মারা যায়। দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা কাজ করে রোজগার করে। মায়ের খবর না নেয়ায় তিনি এখন ভিক্ষে করেন।

একই অবস্থা জেলা শহরের আরও অনেক এলাকায় বিরাজ করছে। পৌরসভার ভোকেশনাল মোড় এলাকায় উলিপুর থেকে আসা রিকশাচালক বছিয়ত মিয়া বলেন,‘দুইদিন থাকি এত কুয়াশা রিক্সাই বের করা যায়না। পেটের দায়ে রিক্সা বের করলেও প্যাসেঞ্জার নাই। একটা ভাড়া ধরি আসচি। এখন বসি আছি।’

গত দুইদিন ধরে প্রচন্ড ঠাণ্ডায় কাহিল অবস্থা এখানকার মানুষের। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলার স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। ফের নতুন করে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা  সারারাত বৃষ্টির মত টিপটিপ করে পড়ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছেনা। ফলে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজে যেতে পারছেন না।

বুধবার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার তাপমাত্রা অনেক কমেছে এবং ৯ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে রাস্তাঘাট দেখা যায়না।হেড লাইট জ্বালিয়ে দূরপাল্লার যান চলাচল করতে দেখা যায়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। 

ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডায় গবাদি পশুগুলোরও কষ্ট বেড়েছে। শীতের গরম কাপড়ের অভাব গরীব দুঃস্থদের মধ্যে প্রকট আকার ধারণ করেছে।জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা নগণ্য। জেলায় পর্যাপ্ত কম্বলসহ শীতবস্ত্র দেয়ার দাবি শীতার্ত মানুষের।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর