বগুড়া জেলা মোটর মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে।
এছাড়াও ঘণ্টাব্যাপী চলা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে আগুন দেয়া হয়েছে পাঁচটি মোটরসাইকেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বগুড়ার চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চত্বরে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বগুড়া জেলা মোটর মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইতিমধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছেন।
কিন্তু মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম নির্বাচনের বিরোধিতা করে মোটর মালিক গ্রুপের অফিস ও মালামাল তার হেফাজতে চারমাথা বাসটার্মিনাল এলাকায় রাখেন।
এর জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারণে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়কটি দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। সংঘর্ষ থেমে যাওয়ার পর আমিনুল গ্রুপ চারমাথা এলাকায় অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরও হটিয়ে দেয়। চারমাথা এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিডি প্রতিনিধি/আবু জাফর