রাজশাহীর পুঠিয়ায় নিখোঁজের পরদিন মেরিনা মাড্ডি (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননী এক আদিবাসী নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি দুর্বৃত্তরা ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির অদূরে থাকা একটি কলাবাগান থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মেরিনা মাড্ডি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার আটভাগ আদিবাসী গ্রামের নরেন মাড্ডির স্ত্রী। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাকে রাতে কোথাও পাওয়া যায়নি।
পুঠিয়ায় ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জুয়েল রানা বলেন, নিখোঁজের বাড়ির লোকজন তাকে সারারাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়রা একটি কলাবাগানে তার মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর নিহতের মরদেহে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখন নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। যদিও মৃতের স্বামী নরেন মাড্ডির দাবি তার স্ত্রীকে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। তার শরীরের একাধিক স্থানে কিছু আঘাতের চিহ্ন আছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি করেন। এছাড়া এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হতে পারে। এছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া এখনই বলা যাচ্ছে না যে তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার থানায় মামলা দিলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল