রাঙামাটিতে সঙ্গীতশিল্পী ও কলাকুশলীদের মধ্যে করোনাকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রথম দফায় ৯০ জনকে ১০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ।
জেলার মোট ১১৬ জনের মধ্যে প্রথম দফায় জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা অনুদানের চেক পেয়েছেন, সুরুপা চাকমা, নিতেশ চাকমা, পুস্প চাকমা, হরিমোহন চাকমা, তপু বড়ুয়া ও সীমা দেওয়ানসহ ৯০ জন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা উপমা, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
চেক বিতরণকালে জেলায় প্রণোদনা পাওয়া শিল্পী ও কলাকুশলী তালিকা নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলে অনেকে অভিযোগ করে বলেছেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির তৈরি এ তালিকায় ব্যাপক স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় প্রকৃত শিল্পী ও কলাকুশলীরা বাদ পড়েছেন।
স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে যারা অশিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ধারেপাশে নেই, কিছুই জানে না, তাদের শিল্পী-কলাকুশলী তালিকায় দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার অনুদান দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বলেন, যারা প্রকৃত শিল্পী, তারা-ই এ অনুদান পাবে। যদি তালিকায় কোনো অসংগতি থেকে থাকে, তাহলে তা যাচাই বাছাই করে পরবর্তী অনুদান প্রদান করা হবে। যারা শিল্পী নয়, তারা অনুদান পাবে না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদেরও খোঁজ খবর নিতে বলেন জেলা প্রশাসক।
এ ব্যাপারে ফোনে যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার অনুসিনথিয়া চাকমা বলেন, করোনাকালীন ওই তালিকা করতে গিয়ে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আমি যতটুকু পেরেছি, সঠিক তালিকা করার চেষ্টা করেছি। আমার জানামতে, এখানে কোনো রকম অনিয়ম করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর