চুলা ভাঙচুর করা নিয়ে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ২০টি বসতঘরে তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের শিহিপুর গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য কোহিনুর মাতুব্বরের সাথে প্রতিপক্ষ ইউসুফ মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
স্থানীয়রা জানান, শিহিপুর গ্রামের ইউসুফ মাতুব্বরের সমর্থক খোকন মাতুব্বর সিঙ্গাড়া-পুরি ভেজে বিক্রি করার জন্য ওই গ্রামের রাস্তার পাশে একটি চুলা তৈরি করেন। সেই চুলা বৃহস্পতিবার সকালে ভেঙে ফেলে প্রতিপক্ষ কোহিনুর মাতুব্বরের সমর্থক বাসার মাতুব্বর। এই ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের শতশত লোক দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভেলা, সরকি ও টেটা হাতে নিয়ে একে-অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের বিশু মোল্যা, বাবুল মোল্যা, মিজান মোল্যা, জাকির মোল্যা, নুরু মিয়া, দবির মোল্যা, ইউসুফ মাতুব্বর, হবি মাতুব্বর, রহিম মাতুব্বর, তোতা মাতুব্বর, সজিব মোল্যা, তারেক মাতুব্বর ও কোহিনুর মাতুব্বরসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার ওসি (তদন্ত) সুব্রত গোলদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ওই গ্রামের পরিবেশ শান্ত রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকেই অভিযোগ পাওয়া যায়নি।