বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে আশিক জোমাদ্দার (২৫) নামে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ভাইরাল হয়েছে। চিংড়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল খান এ নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ।
হাত-পা বেঁধে নির্যাতনে গুরুতর আহত আশিক জোমাদ্দারকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর বড় জামুয়া গ্রামের খলিল খানের ছেলে ইউপি সদস্যে সোহেল খানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি রামদা ও হকি ষ্টিক উদ্ধার করেছে পলিশ। তবে, পুলিশি অভিযানের আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ইউপি সদস্য।
পুলিশ জানায়, বাগেরহাট জেলার পার্শ্ববর্তী পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার চরনী পর্ত্তাসী গ্রামের কবির আকনের ছেলে আবদুস সবুর আকনের একটি মোবাইল ফোন মঙ্গলবার চুরি করে নেয় ইউপি সদস্য সোহেল খানের ছোট ভাই রুবেল খান। চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য বুধবার দুপুরে রুবেলের বড়ভাই এবং ইউপি সদস্য সোহেল খানের বসতবাড়ি যান মোবাইল মালিক আবদুস সবুরের বন্ধু চরনী পর্ত্তাসী গ্রামের আশিক জোমাদ্দার। বিষযটি সোহেল খানকে অবহিত করে মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের দাবি করলে তা নিয়ে আাশিক ও সোহেল খানের মধ্যে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সোহেল খানের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী আশিককে আটক করে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত আশিককে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ওই সময়ে আশিক জোমাদ্দারকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের দৃশ্যটি কেউ একজন মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে বৃহস্পতিবার ‘চিংড়াখালী বাজার’ নামক একটি আইডি থেকে তা ফেসবুকে পোষ্ট দিলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের দৃশ্যটি ফেসবুকে ভাইরাল হবার পর পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়ে।
মোরেলগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের দৃশ্যটি ফেসবুকে ভাইরাল হবার পর একাধিক মামলার আসামি সোহেল খান ও তার সহযোগীদের নামে মামলা দায়ের করেছি। পুলিশ সন্ত্রাসী ইউপি সদস্য সোহেলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি রামদা ও হকি ষ্টিক উদ্ধার করেছি। সোহেলকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল