জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার নতুন ৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে হাসপাতালটিতে মোট রোগী ৩২ জন। এছাড়া জেলার ৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে বেশীর ভাগই শিশু। গত ৭ দিনে জেলা আধুনিক হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে।
রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ওয়ার্ডে জায়গা না থাকায় তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালগুলোর বারান্দায় বেড দিয়ে এমন কি মেঝেতেও। হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে এক থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুর সংখ্যা বেশী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি শিশু বমি, পাতলা পায়খানা আর পেটের ব্যথায় ভুগছে। ডায়রিয়ার জন্য শুধু জেলা আধুনিক হাসপাতালে আলাদা ২৫ শয্যা থাকলেও গড়ে প্রতিদিন সেখানে রোগী ভর্তি হচ্ছেন ৬০ জন। ফলে বেডের সংকুলান না হওয়ায় অধিকাংশ রোগীকে মেঝেতেই নিতে হচ্ছে চিকিৎসা। এমন বিপুল সংখ্যক ডায়রিয়াই আক্রান্ত রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের কর্মচারীদের।
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা থেকে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি তার ভাগ্নেকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। তিনি জানান, হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি ও কাশি হওয়ার পর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাড়িতে কোনো সমাধান না হওয়ায় হাসপাতালে আসতে হয়েছে।
জয়পুরহাট সদরের চকশ্যাম গ্রাম থেকে আসা আশা বেগম জানান, স্বামীকে বাড়ীতে দু’দিন চিকিৎসা দেয়ার পর কোন কাজ না হওয়ায় অবশেষে হাসপাতালে তারা এসেছেন। এখানেই তিনদিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড ইনচার্জ নাসিমা সুলতানা বলেন, হাসপাতালে মাত্র ৮ শয্যার একটি ডায়রিয়া ওয়ার্ড থাকায় প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ জন রোগীর স্থান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই সঙ্গে জনবল কম এবং রোগী বেশি হওয়ায় দায়িত্বরত নার্সদের অনেকটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ধারণা করছি ভাইরাস জনিত কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। ডায়রিয়া হলেই অ্যান্টিবায়েটিক খেতে হবে এমনটা ঠিক না। পাতলা পায়খানা হলে বেশি করে স্যালাইন খেতে হবে। এরপরও যদি উপশম না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল