৭ মার্চ, ২০২১ ১৪:০৪

প্রতিপক্ষের বাধায় মরে যাচ্ছে চা আর কলাবাগান

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রতিপক্ষের বাধায় মরে যাচ্ছে চা আর কলাবাগান

প্রতিপক্ষের বাধার কারণে পরিচর্যার অভাবে মরে যাচ্ছে একটি কলাবাগান ও একটি চা বাগান। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বেংহারী ইউনিয়নের করোতোয়া নদীর তীর ঘেঁষা নতুন বস্তি নামের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বাগান দুটির মালিকের অভিযোগ, প্রতিপক্ষরা বাগানে পানি সেচ করতে দিচ্ছে না। পরিচর্যাও করতে দিচ্ছে না। তাই গাছগুলো মরে যাওয়া শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে কয়েকবার সামাজিক বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। এ ব্যাপারে বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। পুলিশ জানিয়েছে পুলিশের অনুরোধকেও তোয়াক্কা করছেনা প্রতিপক্ষ।

সরেজমিন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত সাধু ব্যাপারির ছেলে মো. নইমউদ্দিন ২০ বছর আগে এই এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে বসত করা শুরু করেন। কয়েকবছর আগে ১২ বিঘা জমির একটি প্লটে চার বিঘা জমিতে কলা বাগান, ৩ বিঘা জমিতে চা বাগান এবং ৫ বিঘা জমিতে শাক সবজিসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করে আসছেন। কলাবাগানটিতে দুই হাজার কলা গাছ রয়েছে। সাগর কলা প্রজাতির এই বাগানের  প্রত্যেক গাছেই থরে থরে ফল এসেছে। আগামী রমজান মাসে কলা পাকা শুরু করবে। অন্যদিকে চা বাগান থেকে এসময় নতুন পাতা নতুন কুড়ি আসার কথা। কিন্তু পানির অভাবে কলা এবং চা গাছগুলো প্রায় মরে গেছে। এই মুহুর্তে পানি দিতে না পারলে অচিরেই বাগান দুটি ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রতিপক্ষের বাধার কারণে প্লটের অন্য ৫ বিঘা জমিতে কোন আবাদ করতে পারছে না জমির মালিক। খালি পড়ে আছে।

বাগানের মালিকের অভিযোগ, প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত মুন্সেফ আলীর ছেলে আব্দুল হানিফ ও তার পরিবার জোর করে জমিটি দাবি করছে। বাগানে পানি দিতে গেলেই তারা আমাদেরকে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন। তাদের বাধার কারণে একদিকে বাগান মরে যাচ্ছে অন্যদিকে ৫ বিঘা জমিতে কোন আবাদই করতে পারছেন না তারা। এ ব্যাপারে বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জমিটির মালিক নইমউদ্দিন আরও জানান, কলাবাগানে গাছ মরে যাবার কারণে প্রায় আট লাখ টাকা ক্ষতি হবে । চা বাগানে ক্ষতি হচ্ছে ১৬ লাখ টাকা। অন্যদিকে পড়তি জমিতে আবাদ করতে না পারার কারণে আরও অন্তত ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। আমি পথে বসে গেছি। জমির কাগজপত্র ঠিক আছে, দীর্ঘদিন দখল করে আছি। আমার এখানে কেউ নেই । আমরা বাইরে থেকে এসে এখানে বসতবাড়ি করেছি । প্রতিপক্ষরা এই সুযোগ নিয়ে জোর করে জমি দাবি করে আমার ফসল নষ্ট করছে।

প্রতিপক্ষ আব্দুল হানিফ জানান, এই জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। জমির প্রকৃত মালিক একটি টি এ্যাস্টেট ও আমাদের। সেই টি এ্যাস্টেটে আমার দুই ছেলে চাকরি করে। তাই তাদের পক্ষ থেকে আমি কাজ করছি। বাগান দুটি আমাদের।

এ ব্যাপারে বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। বাগানে পানি সেচ করতে দেয়ার জন্য আব্দুল হানিফকে মৌখিকভাবে অনুরোধও করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর