নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
আজ বুধবার দুপুর ১টায় জেলা শহর মাইজদীর টাউনহল মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। তবে, মির্জা কাদের এই অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাটিকে বানোয়াট ও সাজানো বলে মন্তব্য করেছেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা কমান্ডার মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান, আবুল কাশেম প্রমুখ। কর্মসূচিতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেন।এ সময় তারা বলেন, আবদুল কাদের মির্জা একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, যিনি যুদ্ধকালীন সময়ে কোম্পানীগঞ্জের একজন ডিপুটি কমান্ডার ছিলেন- তার গায়েও হাত তোলেন। যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না। এর সঠিক বিচার না হলে সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
এদিকে সকাল ১১টায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন আবদুল কাদের মির্জা। এ সময় তিনি দাবী করেন, খিজির হায়াত খানকে তিনি লাঞ্ছিত করেননি। বরং উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
মির্জা কাদেরের দাবি তার বিরুদ্ধে অপরাজনীতিকারী পক্ষ মিথ্যাচার করছে এবং পরিকল্পিতভাবে নাটক সাজাচ্ছে। তিনি দাবী করেন, গতকাল রাতে খিজির হায়াত খান ও মিজানুর রহমান বাদলের লোকজন বাজারে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর