মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে রবিবার (২১ মার্চ) বিকেলে বসুরহাট পৌরসভার মিলনায়তনে এক শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তবে এ শোকসভার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।
দুপুর ২টায় ফেইসবুক লাইভে এসে আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আমাকে জানান, আপনার আয়োজিত নাগরিক শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্থগিত করা হলো। এ বিষয়ে আমি চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেনকে ফোন করলে তিনি জানান, এ কর্মসূচি পালন করা যাবে না, আপনি প্রয়োজনে নোয়াখালীতে এ কর্মসূচি পালন করুন। তাঁকে বললাম শনিবার আমি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছি, তিনি বললেন, সে ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আজকে জেনেছি তাই বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন- সেতুমন্ত্রীর স্ত্রী আমাকে হত্যার জন্য ১ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন: কাদের মির্জা
কাদের মির্জা বলেন, যেদেশে গুনি ব্যক্তিকে সম্মান করে, সে দেশে গুনি ব্যক্তির জন্ম হয়। আমি মনে করি ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ একজন গুনি ব্যক্তি এবং আমাদের সম্পদ। তিনি ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলায় ড.কামাল হোসেনের সহযোগী আইনজীবী ছিলেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচয়িতা ড.কামাল হোসেনের সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করেছেন। আইয়ুব খানের সাথে গোল টেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিলেন। তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মনে করেছি মওদুদ আহমেদ একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, আমাদের এ অঞ্চলের একজন কৃতি সন্তান, তার জন্য শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল করার প্রয়োজন অনুভব করে আমি এ নাগরিক শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছি। কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় এ কর্মসূচী পণ্ড হয়ে গেল।
ফেসবুক লাইভে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি জেলকে ভয় পাই না। যখন মুজিব কলেজের ভিপি ছিলাম তখন অনেক জেল খেটেছি। জেলের ভয় দেখিয়ে আমার সত্যবচন বন্ধ করা যাবে না। আমি অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে যাব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল