নোয়াখালী পৌরসভার কাশিপুর এলাকায় মোহাম্মদ আলী মনু (৩২) নামে শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে সোমবার পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মনুর চাচা ইকবাল হোসেন তার লোকজন নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এদিকে, হত্যার ঘটনার সাথে শাহাদাত নামের এক ব্যক্তি জড়িত দাবি করে এদিন রাত পৌনে ১২টায় তার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এসময় তাদের বেশ কয়েকটি অটোরিকশা ও ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ইকবাল নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে।
এ ব্যাপারে শাহাদাতের মা জাহানারা বেগম জানান, আমার ছেলে শাহাদাত যদি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে মামলা হবে এবং পুলিশ অবশ্যই তাকে গ্রেফতার করবে। সে অপরাধ করলে অপরাধের বিচার আছে। কিন্তু ঘটনার দিন রাত পৌনে ১২টায় কিছু লোক ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাড়িতে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।
এর আগে, সোমবার রাত ১০টার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার দত্তবাড়ী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ আলী মনু ওই এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে।
মনু নোয়াখালী শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খালেদ মোশারফ রাজু।
নিহতের ভাই আহমেদ আলী অভিযোগ করে বলেন, তার চাচা ইকবাল হোসেন ও তার কয়েকজন সহযোগী এশার নামাজের পর মনুকে মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে লিটন দাসের দোকানে নিয়ে আসে। এসময় তারা মনুকে আটকে রেখে লোহার রড় ও হেমার দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মনুকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর মারা যায় মনু।
সুধারাম মডেল থানার ওসি শাহেদ উদ্দিন জানান, শাহাদাতের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি দুঃখজনক। কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই