নেত্রকোনায় গরম এক বাতাসে বিভিন্ন হাওরের ধান সাদা হয়ে গেছে। মুহূর্তেই নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। তবে কৃষকদের হিসাব মতে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হলেও কৃষি বিভাগ বলছেন ১৪ হাজর ৪২০ হেক্টর। কিন্তু সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাওরাঞ্চলের বেশির ভাগ জুরেই ধানগাছ সব সাদা হয়ে আছে।
কৃষকরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় সারাদেশে ঝড়ো হাওয়ার সময় নেত্রকোনায় শুধু ধুলার বাতাস হয়েছে। পরে রাতে প্রায় ঘণ্টাখানেক অসম্ভব গরম অনুভূত হয়। পরদিন সোমবার সকালে কৃষকরা জমিতে গিয়ে দেখেন পুরো সবুজ রঙ সাদায় পরিণত হয়ে গেছে। কেউ কেউ পথে বসেই মাথায় হাত দিয়েছেন। কেউ কেউ বিলাপ করছেন। গতবার করোনায় লাভ হয়নি। এর আগের বার বন্যা হয়েছে। এবছর বন্যায় না ডুবলেও আশ্চর্যজনকভাবে নষ্ট হয়ে গেছে স্বপ্ন।
জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙ্গাপোতা হাওরের মল্লিকপুর গ্রামের কৃষক অনুপ তালুকদার জানান, যেগুলোতে দুধ এসেছিল, সেগুলোই এমন হয়েছে। আবার মোটামুটি ধান চলে এসেছে যেগুলোতে সেগুলো নষ্ট হবে না। নিচের অর্থাৎ শেষ দিকের লাগানো জমিগুলোই এমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো ঝড় না কিছু না একটা প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়। আর এরপরই সকালে আমরা মাঠে এসে এমনটা দেখতে পাই। এছাড়াও জেলার মদন বারহাট্টাসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের জমিতে ধানের এমন খবর পাওয়া গেছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে হাওরাঞ্চলেই ৪০ হাজার ৯৬০ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ হাজার ৪২০ হেক্টর।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ১০ উপজেলায় ১৪ হাজার ৪২০ হেক্টর ক্ষতির পরিমাণ পাওয়া গেছে। আমরা সবাই জানি গরম বাতাসে হয়েছে। কিন্তু হিটস্ট্রোক থাকলেও ধানের বেলায় এই শব্দটা নেই। মানুষের বেলায় বলা যায়। ধান গবেষকরা আসবেন মঙ্গলবার। তখন এর কারণ জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই