মহামারি করোনা রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে সব ধরনের যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলে ধান কাটতে শ্রমিক পাঠালো লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন।
গত দুই দিনে (রবিবার ও শনিবার) নৈশকোচ ও মাইক্রোবাসে করে ৭২ জন শ্রমিককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দক্ষিণাঞ্চলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনে সব ধরনের যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। লকডাউনে লালমনিরহাটের কৃষি শ্রমিকরা বর্তমানে বেকার ও কর্মহীন রয়েছেন। অপরদিকে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান কাটা মৌসুম শুরু হলেও সেখানে শ্রমিক সংকট রয়েছে। প্রতি বছর লালমনিরহাট তথা উত্তরাঞ্চলের কৃষি শ্রমিকরাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ধান কাটার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে চলমান লকডাউনে এসব শ্রমিক ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। তাই কৃষি অর্থনীতি সচল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় এসব কৃষি শ্রমিককে বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার জন্য পাঠানোর উদ্যোগ নেয় জেলা পুলিশ বাহিনীর ট্রাফিক বিভাগ।গত দুই দিনে নৈশকোচ ও মাইক্রোবাসে ৭২ জন কৃষি শ্রমিককে লালমনিরহাট থেকে গাজিপুর ও কুমিল্লায় পাঠানো হয়। আগামী দিনেও এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। এজন্য বাইরের জেলায় ধান কাটা বা কৃষি কাজের জন্য যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের সংশ্লিষ্ট থানার ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, কৃষি অর্থনীতি সচল রাখতে প্রয়োজন অনুপাতে বাইরের জেলায় ধান কাটা শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে ৭২ জন শ্রমিককে কুমিল্লা ও গাজিপুরে পাঠানো হয়েছে। আগামী দিনেও এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
