রংপুরে বোরো ধানে স্বপ্ন বুনছে কৃষকরা। দক্ষিণাঞ্চলে ধান কাটা মাড়াই শুরু হলেও রংপুরের অঞ্চলে ধান কাটতে আরো দুসপ্তাহের মত লাগবে। তাই কৃষকরা ক্ষেতের দোল খাওয়া ধান দেখে স্বপ্ন বুনছেন। কৃষকরা যাতে করোনা মোকাবেলা করে ফসল ঘরে তুলতে পারে এজন্য কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। তারা কৃষকদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছেন।
রংপুর কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে এবার বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। সেখানে আবাদ হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫১৭ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে বোরো ধানের বয়স হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ দিন। আর ১০ থেকে ১৫ দিন পরেই কৃষক এধান গোলায় তুলবে। তাই করোনা ভয়ে ভীত না হয়ে তারা ক্ষেত পরিচর্যার কাজ করছেন। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে এবার এ অঞ্চলে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ১৯৯ হেক্টর। আউশ ধানও বপন শুরু হয়েছে অনেকস্থানে।
রংপুর সদরের কৃষক আসাদুজ্জামান, গৌরাঙ্গ মহন্ত, কাউনিয়ার,আফজাল হোসেন, মিঠাপুকুরের আশরাফুল ইসলামসহ অনেকেই জানালেন, করোনার প্রভাবে দেশে যাতে খাদ্য ঘাটতি না হয় এজন্য তারা ফসলের প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছেন। সরকার ঘোষিত সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ক্ষেতের কাজ করার চেষ্টা করছেন এবং নিয়মিত ক্ষেত পরির্চযা ও সেচ দিচ্ছেন।
রংপুর কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ জানান, কৃষি বিভাগের লোকজন সার্বক্ষনিক মাঠে কাজ করছেন। আমরা প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের যারা কাজ করছেন তাদের সা যোগাযোগ রাখছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার