তথ্য গোপন করে তৃতীয় বিয়ে করেন রুক্কু মিয়া (৩৭)। আগের দুই বিয়ের বিষয়ে জেনে যাওয়ার পর চলছিল পারিবারিক কলহ। এর জেরে তৃতীয় স্ত্রী তাকে মৌখিক তালাক দেন। কিন্তু তারপরও সেই স্ত্রীর বাবার বাড়িতে যান রুক্কু মিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তৃতীয় স্ত্রী রুবিনা আক্তার (২৭)।
ঈদের দিন শুক্রবার মধ্যরাতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রুবিনা ওই গ্রামের বাবুল হিলালির মেয়ে। নিহত রুক্কু মিয়া পুর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের শামছুদ্দিনের ছেলে।
কলমাকান্দা থানার ওসি এটিএম মাহমুদুল হক জানান, ১১ বছর আগে রুবিনাকে বিয়ে করেন রুক্কু মিয়া। তারও আগে আরও দুটি বিয়ে করেন তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। এরই মাঝে রুবিনা তার স্বামী রুক্কু মিয়াকে মৌখিক তালাক দিয়েছেন। তারপরও তার বাড়িতে রুক্কু মিয়া যাওয়া-আসা করেন।
তিনি বলেন, ঈদের দিন শুক্রবার পুনরায় গেলে স্বামী রুক্কু মিয়াকে রাতে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন রুবিনা। পরে সকালে খবর পেয়ে পুলিশ রুবিনাকে আটক করে। লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনায়ে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম