ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আবু কাউসার ভূঁইয়াসহ সাতজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত। গতকাল রবিবার দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আবু কাউসার ভূঁইয়া (৩৯) বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা অন্য আসামিরা হলেন- আবু কাউসারের আপন চাচাতো ভাই আসাদ ভূঁইয়া (২৪), জয় ভূঁইয়া (২৫), পিয়াস ভূঁইয়া (২০), নাইম ভূঁইয়া (২৪), শরীফ ভূঁইয়া (২০) ও পিন্টু মিয়া (৪৫)। তারা সবাই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। ওই হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৪০ দিনের জামিন পান তারা। রবিবার আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মাদকবিরোধী সভা করায় গত বছরের ২৪ মে সকালে উপজেলার নজরপুর গ্রামে যুবলীগ নেতা কাউসার ও তার লোকজন আবু নাছের (৩৫) এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেন। গত বছরের ২৯ মে রাত ১১টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডি রেনেসাঁ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আবু নাছের উপজেলার সেজামূড়া গ্রামের আবু শামার ছেলে এবং আউলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী। যুবলীগ নেতা কাউসারও একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মে বিকেলে সেজামূড়া গ্রামে ৬০ থেকে ৬৫ জন স্থানীয় হুমায়ূন কবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাদকবিরোধী সভা করেন। পরদিন সকালে নজরপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে কাউসারসহ ১২ থেকে ১৪ জন রড শাবল ও কাঠের লাঠি দিয়ে নাছেরকে বেধড়ক পেটানো শুরু করেন। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে নাছেরকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। এরপর গত বছরের ২৯ মে রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবু নাছির।
পরে নিহতের বাবা বাদী আবু শামা বাদী হয়ে কাউসারকে প্রধানসহ ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের গত ২ মার্চ কাউসার, তাঁর চাচাতো ভাই আসাদ, পিয়াস, শরীফ নাইম, জয় ও স্থানীয় পিন্টুসহ ১১জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতের পরিদর্শক দিদারুল আলম বলেন, উপজেলার বিজয়নগরের একটি হত্যা মামলায় কাউসারসহ সাতজন জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর