বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের টাকা ছিনতাই ও মারধরসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মোংলা পোর্ট পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মোংলা পৌর যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি শিউলি আক্তার।
দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিউলি আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মোংলা শহরের চৌধুরী মোড়ে ইসলামী ব্যাংক শাখার তৃতীয় তলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন আমার স্বামী সোহাগকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার উপর নিয়ে যায়। সেখানে ইকবালসহ তার লোকজন আমার স্বামী সোহাগকে মারধর করেন। এসময় আমার স্বামীর কাছে একটি পাটের ব্যাগে থাকা ৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীর ডাক-চিৎকার শুনে ইসলামী ব্যাংকে কাজ সেরে আমি নিচে আসলে ইকবাল আমার কাপড় ধরে আমাকে রাস্তার উপর টেনেহিঁচড়ে ফেলে আমার শ্লীলতাহানি ঘটায়। আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন এবং হাতে থাকা ব্রেসলেট ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় মোংলা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওই দিনই মোংলা থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। কিন্তু তিনদিন পার হলেও থানা পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। উল্টো ইকবাল এখন আমাকে মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তিনি তার টাকা ও মারধরের বিচার চান বলেও জানান।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কাউন্সিলর শিউলি আক্তার আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন, তা সত্য নয়। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে তিনি অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই