১৩ জুন, ২০২১ ১৬:১২

পাবনার সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনার সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ

হাজী ফারুক, এ আর খান মামুন ও শেখ লালু

পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের মহড়ার ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অস্ত্র দুটি জব্দ করে সদর থানায় নিয়ে আসে। তবে, আলোচিত এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও, গণপূর্ত বিভাগের কোন অভিযোগ না থাকায় কোন মামলা হয়নি।

পুলিশ জানায়, গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে আসেন। আগতরা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপ সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান এবং কিছুক্ষণ পর তারা বের হয়ে যান। লিখিত অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে নামে। জেলা আইনশৃংখলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন হলে, জেলা জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র গুলি জব্দ করে। 

তবে, শোডাউন নয় নিরপত্তার স্বার্থে অস্ত্র গুলি বহন করছিলেন বলে দাবী আওয়ামী লীগ নেতাদের। তদন্তে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, গত ৬ জুন রবিবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলা জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ ফারুক হোসেন ওরফে হাজী ফারুক, পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন ও পাবনা জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে ৮-৯ জনের একদল ব্যক্তি ফিল্মি স্টাইলে শহরের ছাতিয়ানীতে অবস্থিত পাবনা গণপূর্ত অফিসে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে মামুন ও লালুর শটগান ছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে গণপূর্ত বিভাগ কোনো অভিযোগ না করায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে পাবনা সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে রবিবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছ। উঠেছে নিন্দার ঝড়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতারা বিব্রত হলেও, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, এটি দলীয় কোন বিষয় নয়। ঠিকাদার নেতাদের বিরুদ্ধে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা আমার কাছেও কোন অভিযোগ করেনি। তবে, আইনশৃংখলা বাহিনী বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। 
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, বিষয় সম্পর্কে তাকে জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে প্রতিকার বা ব্যবস্থা নিতে বলা হয়নি।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর