২৩ জুন, ২০২১ ১৬:০৪

রাজবাড়ীতে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীতে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নদী ভাঙন রোধে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী।

বুধবার দুপুরে উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় তিনি এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি বিলীন হচ্ছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙনে দেবগ্রাম ইউনিয়ন প্রায় বিলীন হতে যাচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ নদী ভাঙনের অভিযোগ নিয়ে আমার বাড়িতে এবং অফিসে আসেন। আমি তাদের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ভাঙন রোধে আমি তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। গত কয়েক মাস ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু তারা কোনো কিছুই বলতে পারছে না।

সাংবাদিকদের মাধ্যমে সাত দিন সময় বেঁধে দিলাম। এই সাত দিনে পানি সম্পদ মন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীসহ এই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে আগামী ২ জুলাই নদী ভাঙন কবলিত হাজার হাজার মানুষ নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবস্থান করে সড়ক অবরোধ করব। প্রধানমন্ত্রী দেশে এত উন্নয়ন করেছেন। আমার বিশ্বাস তার কাছে নদী ভাঙন কবলিত মানুষের অর্তনাদ পৌঁছালে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গেলে ভাঙন পাড়ের শত শত মানুষ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তারা বলেন, প্রতি বছর হাজার হাজার পরিবার নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু আশার কথা শুনিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে শোনা যাচ্ছে নদী ভাঙন এলাকা বাদ দিয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৬ কিলোমিটার এলাকা ভাঙন রোধে কাজ করবে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আহাদ বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটকে কেন্দ্র করে ৬ কিলোমিটার এলাকায় নদী ভাঙন রক্ষাসহ ফেরিঘাটের আধুনিকায়ন করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের বাইরে আপাতত নদী ভাঙন রক্ষায় কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।

নদী ভাঙন পরিদর্শনকালে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দীন রনি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সালু ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর