যথাযথভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নেত্রকোনায় ১৩টি পয়েন্টে নির্ধারণ করে জারি করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের দিক নির্দেশনা। সোমবার (২৮ জুন) সকালে শহরের ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে কার্যক্রম সফল করতে সকল শ্রেণি পেশার সহযোগিতা চেয়ে এ দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ সময় নেত্রকোনা পৌরসভার নেতৃত্বে সকল স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনজিও, পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিদের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী আগামী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত জেলা শহরের প্রথম পর্যায়ের সার্বিক লকডাউন বাস্তবায়নে পৌরসভার নেতৃত্বে ১৩টি পয়েন্ট ধরে নিয়ম মানার নানা নির্দেশনা দেন। পৌরসভার পক্ষে প্যানেল মেয়র এস এম মহসীন আলমের নেতৃত্বে শহরের প্রধান প্রবেশ পথ পারলা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে ১৩টি পয়েন্টে ভাগ করা হয়।
এতে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন করে কাউন্সিলর থাকবেন এক একটি পয়েন্টে। সাথে থাকবে সদরের একজন পুলিশ সদস্য, পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবী, এনজিও প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ভলান্টিয়াররা। নেত্রকোনা জেলা সদরকে করোনামুক্ত রাখতে সরকারের প্রথম পর্যায়ের দেয়া সীমিত পরিসরের লকডাউন বাস্তবায়নে জেলায় এই সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
আগামী নিদের্শনা না আসা পর্যন্ত এই কার্যক্রম বলবৎ থাকবে বলেও জানা যায়। সেই সাথে জেলার ১০ উপজেলায়ও স্থানীয়ভাবে একই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সীমান্ত উপজেলাগুলোতে প্রশাসন এবং পুলিস ছাড়াও বিজিবি সদস্যরা বিশেষ নজরাদারিতে কাজ করছে।
এর আগে রবিবার মধ্যরাতে মডেল থানাধীন জেলা সদরের প্রধান সড়কে নেত্রকোনা মডেল থানা, ডিবি ও ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ে মোটরসাইকেল মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মাইকে লকডাউনের নানা সতর্ক বার্তা প্রদান করে পুলিশ সদস্যরা। এতে নেতৃত্ব দেন মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) সালাউদ্দিন কাজল ও তদন্ত ওসি সোহেল রানা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর