কলম্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট আলভারো উরিবেকে সাক্ষীকে প্রভাবিত করা ও প্রতারণার অভিযোগে ১২ বছরের গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ডলার জরিমানা এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কলম্বিয়ার ইতিহাসে এটাই প্রথমবার যখন কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টকে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হলো।
৭৩ বছর বয়সী উরিবে ২০০২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৩ বছর ধরে চলা মামলায় আদালত সম্প্রতি রায় দেয়, যেখানে তাকে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার অপচেষ্টা এবং প্রতারণার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
রায়ের সময় রাজধানী বোগোটার আদালতে উপস্থিত ছিলেন উরিবে। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, 'এই মামলার উদ্দেশ্য বিরোধী কণ্ঠ রোধ করা।' তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানান।
আদালতে জানানো হয়, কারাবন্দী দুই সাবেক প্যারামিলিটারি সদস্য আদালতে প্রমাণ উপস্থাপন করে জানান, উরিবের আইনজীবী দিয়েগো কাদেনা তাদের ঘুষ দিয়ে উরিবের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে বলেন। যদিও কাদেনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, উরিবের বিরুদ্ধে অতীতেও ডানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত এবং বামপন্থী বিদ্রোহীদের দমন অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন তিনি।
এদিকে রায়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও উরিবের সাজা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অতীতে ফার্ক বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য ওয়াশিংটনের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন উরিবে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা