মাদারীপুরের কালকিনিতে দলীয় নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ এনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী (সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি) ঢাকার একটি বাসায় বেশ কিছু নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কাটেন। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে গিয়ে গত কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে অবস্থান নেয়। উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে বলেও জানান তিনি।
একদিকে দলীয় কর্মসূচি নিজ বাসায় পালন, অন্যদিকে বিতর্কিত নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কাটা-দুটি ঘটনাই দলীয় নিয়ম ভঙ্গের সামিল। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন মাস্টার, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন, যুগ্ম সম্পাদক লোকমান সরদার, পৌরসভার মেয়র এসএম হানিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল তালুকদার প্রমুখ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তাহমিনা বেগম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে তিনি বিতর্কিত এবং বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটেছেন। তার সঙ্গে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেনও ছিলেন। তারা কিভাবে দলের বাইরে গিয়ে নিজের বাসায় বসে কেক কাটেন। এ বিষয়টি আমরা জেলা আওয়ামী লীগকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকী বলেন, আমি বহিষ্কারকৃতদের নিয়ে কেক কাটিনি। তবে সাবেক মেয়র এনায়েত হোসেন কিছু বহিষ্কৃতদের নিয়ে আমার বাসায় এসেছিলেন। মাস্ক পরে আসার কারণে কারা কারা আমার বাসায় এসেছিলেন আমি চিনতে পারিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই