কিশোরগঞ্জ আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার মামলার পর বাদী ও বিবাদী পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার শহরের একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স রুমে প্রায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মামলার বাদী জানান, তিনি শহরের ৩২ এলাকার বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। তিনি বিবাহিত এবং তার স্বামী বিদেশে থাকেন। মামলার বিবাদী শুভ আল মাহমুদ ওরফে শোভন পার্শ্ববর্তী খড়মপট্টি এলাকার বাসিন্দা। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আসামি প্রায়ই বিভিন্ন আপত্তিকর প্রস্তাব ও ইঙ্গিত দিত। তিনি এসবের প্রতিবাদ করলে তাকে অপহরণ করার হুমকি দেন। এ ব্যাপারে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৬ জুন রাত ৮টার দিকে শহরের গৌরাঙ্গ বাজার থেকে বাসায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে নগুয়া এলাকার একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের কাছে যাওয়ার পর শোভনসহ আরও ২/৩ জন তার মুখ চেপে একটি সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে নিয়ে যায়। পরে খড়মপট্টিতে একটি নির্জন বাসায় নিয়ে শোভন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসতে থাকলে শোভন পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গত সোমবার কিশোরগঞ্জ আদালতে শোভনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আসামির ভয়ভীতি ও হুমকিতে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
অপরদিকে, মামলার বাদীর সংবাদ সম্মেলনের পর বিবাদী শোভনও একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি শিক্ষিকার আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, শিক্ষিকা ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধু বান্ধবের সাথে তারও দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সম্পর্কের সুবাদে শোভনের কাছ থেকে শিক্ষিকা এবং তার অপর এক বান্ধবী মোটা অঙ্কের টাকা নেন। বর্তমানে টাকা ফেরত চাইলে তারা তার সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকেন। এ বিষয়ে গত ২৫ মে তিনি ঢাকার পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ধর্ষণ চেষ্টার মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে তিনি বলেন, কারও প্ররোচনায় হয়তো তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন। তাছাড়া একটি চক্র তার পরিবারের সুনাম ও মর্যাদা নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন শোভন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই