নাটোরের গুরুদাসপুরে সুবর্ণা (১৮) নামের এক গৃহবধূকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার জুলাই সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিলহরিবাড়ী এলাকায়। নিহত গৃহবধূ তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল গ্রামের মো. হাফিজুর রহমানের মেয়ে ও বিলহরিবাড়ী এলাকার মো. জামাল মোল্লার ছেলে সাগর আলীর স্ত্রী। তবে এ ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালাতক রয়েছে। নিহত গৃহবধূর গলার ডান কাঁধ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।
সুবর্ণার বাবা হাফিজুর রহমান জানান, দুই বছর আগে বিলহরিবাড়ী এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে সাগর আলীর সাথে তার মেয়ের বিবাহ হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করে আসছিলো। বেশ কয়েকদিন আগেও তার মেয়ে তার বাড়িতে গিয়ে স্বামীর বাড়িতে আর আসতে চায়নি। অনেক বুঝিয়ে শেষ বারের মত স্বামীর বাড়িতে তার মেয়েকে আবার পাঠান তিনি। আসার পর থেকেই নির্যাতিত হচ্ছিলো তার মেয়ে। হঠাৎ বুধবার ভোরে শ্বশুর বাড়ি এলাকা থেকে তাকে জানানো হয় তার মেয়ে গলায় ফাঁস নিয়েছে। শোনার পরপরই মেয়েকে দেখতে আসেন তিনি। এসে দেখেন তার মেয়ের গলার ডান কাঁধ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং গলায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার জামাই সাগর আলী ও তার পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় মেয়ে সুবর্ণাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিহত গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে নাটোর মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। সুরতহাল রিপোর্ট আসার পর মূল ঘটনা জানা যাবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন