বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার পল্লীতে দোলন আক্তারের (১৫) নামে এক কিশোরীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। বরপক্ষ উপস্থিত। শুধু বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বাকি। এই খবর জানতে পারেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত। তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ের সমস্ত আয়োজন পণ্ড করে দেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বর ও মেয়ের বাবাকে অর্থদণ্ড করা হয়।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামে করা হয় এই বাল্যবিয়ের আয়োজন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গোলবুনিয়া গ্রামের সেলিম গাজী তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে দোলন আক্তারকে সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের আব্দুল গণি গাজী ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন। উভয় পক্ষের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ীই বিয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে ইউএনও পুলিশ নিয়ে ওই কনের বাড়িতে উপস্থিত হন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের খবর জানতে পেরে কনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করি। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বর আনোয়ার হোসেনকে তিন হাজার টাকা এবং কনের বাবা সেলিম গাজীতে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। শরণখোলা উপজেলার কোথাও এ ধরণের বিয়ের আয়োজন হলে গোপনে তাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে ও বাল্যবিয়ে বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন