ফেনীর দাগনভূঞায় একটি ডোবা থেকে আরাফাত হোসেন (১০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে জেলার দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, শিশু আরাফাত হোসেনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। শিশু আরাফাত সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশ পুর ইউনিয়নের ছয়আনি গ্রামের কাতার প্রবাসী পানা উল্যার ছেলে ও চরলক্ষীগঞ্জ মরহুম সামছুল হক নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, আরাফাত হোসেন মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকেই থেকেই পড়ালেখা করতো। ঘটনার সময়ও সে মাদ্রাসায় ছিল। রবিবার সকালে শিশুর মৃতদেহ ডোবায় পড়ে আছে এমন তথ্য মাদ্রাসার পক্ষ থেকে শিশুর পরিবারকে জানায়। একপর্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখতে পায় স্বজনরা। ডোবাটি মাদ্রাসার পাশে হলেও দাগনভূঞা উপজেলায় পড়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত শিশুর মামা আবদুল্লাহ আল মনসুর অভিযোগ করেন, তার ভাগিনা আরাফাতকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্যেশ্যে ডোবায় ফেলে রাখে। নিহত আরাফাতের শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহতের চাচা ইমাম হোসেন জানান, আরাফাত সাঁতার জানতো, তাছাড়া ডোবাতে কোমর সমান পানি রয়েছে ও তার পেটে কোন পানি নেই, সুতরাং সে পানিতে ডুবে মরতে পারে না।
এ ব্যপারে দাগনভূঞা থানার উপ-পরিদর্শক যশমন্ত শাহা জানান, ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার