রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার ৪টি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ফলে তাদের বিশুদ্ধ খাবার পানি ও রান্না-বান্না নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজ স্টেশনে পদ্মা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিন্টার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবহিত হচ্ছে। পাংশার সেনগ্রাম গেজ স্টেশনে পদ্মার পানি ৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে সদর উপজেলার মহন্দ্রেপুর গেজ স্টেশনে পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর রাজবাড়ীর পদ্মার তীরবর্তী অংশে চারটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এ বছর জেলার কালুখালী, সদর, পাংশা ও গোয়ালন্দ উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক বলেন, জেলায় ৭ হাজার ৫৫১টি পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে রাজবাড়ী সদরে ১১০০টি, পাংশায় ১২৩০টি, গোয়ালন্দে ১৯৫০টি, কালুখালীতে ৩২০০টি ও বালিয়াকান্দিতে ৩৫টি পরিবার পানিবন্দী। তাদের জন্য ৭৩ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৬৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ নম্বরের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৪৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা