কক্সবাজারের রামু দক্ষিণ খুনিয়াপালং এলাকায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে দিয়ে ফাঁদ পেতে হাতি হত্যা করার পর শরীর থেকে মাথা-পা বিচ্ছিন্ন করে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এসময় নজির আহমদ (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটক নজির আহমদ ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে মৃত হাতির শরীর থেকে মাথা-পা বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুল ইসলাম।
এলাকাবাসী জানায়, পাহাড়ি অঞ্চল থেকে হাতি ধান ক্ষেতে নামলে ধান গাছ নষ্ট হয়ে যায়। নতুন রোপন করা ধান গাছ যাতে নষ্ট না করে সেজন্য বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে তার টেনে ধানের জমিতে শর্ট সার্কিট বসানো হয়। সেই শর্ট সার্কিটের ফাঁদে পড়ে মা হাতির মৃত্যু হয়।
এতে শেষ নয়, আস্ত মৃত হাতিটি মাটিতে পুঁতার সুবিধার্তে শরীর থেকে মাথা-পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, রামু উপজেলার দক্ষিণ খুনিয়াপালং এলাকার নজির আহমদ ও তার তিন ছেলে তৈয়ব আলী (৩৪), মো. আলম (২২) ও জাফর আলম (২০) বাড়ির পাশে ধান চাষ করে। পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় পাল বেধে হাতি নেমে ধান গাছ নষ্ট করে। তাই বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ব্যবহার করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, হাতি হত্যার ঘটনায় জড়িত নজির আহমদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত হাতির ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা জানান, মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণ খুনিয়াপালংয়ের পাহাড়ী এলাকায় ধানক্ষেতে চলে আসে একটি মা হাতি। সেখানে স্থানীয় মানুষের পাতা শর্ট সার্কিটের ফাঁদে পড়ে হাতির মৃত্যু হয়। এরপর কিছু দুর্বৃত্ত শরীর থেকে হাতিটির মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। তাদের আটক করতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল