রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকায় একটি অটোরিকশার গ্যারেজে গত রবিবার (২৯ আগস্ট) গভীর রাতে হাত, পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে নৈশপ্রহরী আনিসুর রহমান (৭০) খুন করা হয়। এরপর হত্যাকারীরা ওই গ্যারেজ থেকে একটি অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার আনিসুর রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম কিরন বাদী হয়ে মহানগরীর শাহ মখদুম থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, অটোরিকশা চুরির জন্যই নৈশপ্রহরী আনিসুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- মাহাফুজ মোল্লা (৪৯), মো. আকিজার মোল্লা (৩৩), আবুল হোসেন (৫০) ও রুমন আলী (২৪)। মাহফুজ ও আকিজারকে নড়াইল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পর্কে তারা সৎভাই। মাহাফুজ দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীতে থাকে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি তার পেশা।
পুলিশ জানায়, মামলা রুজুর পরপরই তদন্ত কর্মকর্তা শাহ মখদুম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হারেছ এই 'ক্লু-লেস' মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামি শনাক্তের পর গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। পরবর্তীতে আসামি মাহাফুজকে নড়াইল থেকে গ্রেফতার করা হয়। মাহাফুজের দেওয়া তথ্যমতে আকিজার মোল্লা, রুমন আলী ও আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে আকিজার মোল্লার কাছ থেকে চুরি যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাহাফুজ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। আনিসুরকে হত্যার পর সে অটোরিকশা নিয়ে নড়াইলের লোহাগড়ায় চলে যায়। সেখানে তার সৎ ভাই আকিজার ও প্রতিবেশী রবিউলকে অটোরিকশাটি বিক্রির জন্য দেয়।
রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামি মাহাফুজ মোল্লা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। সব আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মাহাফুজের প্রতিবেশী রবিউলের এই ঘটনায় সম্পৃক্ততা আছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে আছে বলেও জানান এই পুলিশ কমকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন