টানা এক সপ্তাহ ধরে ফরিদপুরে পদ্মার পানি বাড়লেও একদিনে পানি কমেছে ৫ সেন্টিমিটার। পানি কমলেও এখনও তা বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত একমাসের অধিক সময় ধরে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি থাকায় তাদের দুর্ভোগ এখন চরমে। বানভাসী মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্য সংকট চলছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, সদরপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, ভাঙ্গা উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন, চরভদ্রাসন উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন, আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন, মধুখালী উপজেলার ২টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
বন্যার পানির তীব্র স্রোতে বিভিন্ন স্থানে ধ্বসে গেছে বেশকিছু সড়ক। বন্যার কারণে মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের। এছাড়া পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে দিশেহারা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে ফরিদপুরের সদর উপজেলার ডিক্রিরচর, নর্থচ্যানেল, সদরপুরের চর নাসিরপুর, ঢেউখালী, আকটের চর, চরভদ্রাসনের সদর, চরহরিরামপুর, ঝাউকান্দা, আলফাডাঙ্গার গোপালপুরসহ বেশকিছু ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। বন্যার পানিতে এখনো তলিয়ে আছে ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর নদী ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ৫টি স্কুল। এসব স্কুলে বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে বিপাকে পড়তে হবে। বন্যার কারণে অনেকেই কোন কাজ না পেয়ে বেশ কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে। সরকারের তরফ থেকে কিছু ইউনিয়নের খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক অনুদান প্রদান করলেও তা একেবারেই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন।
জেলা প্রশাসক অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসাবে ৫০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন