মহামারী করোনায় লকডাউনের দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস পর ঝিনাইদহের বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সকাল থেকেই বিদ্যালয়গুলোর প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের শরীরে তাপমাত্রা নির্ণয় ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে সকালে সদর উপজেলা নগরবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রিওপেনিং উদ্বোধন করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শুধাংশু বিশ্বাস, নগরবাথান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলামসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মচারীগণ।
এর আগে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করানোর সময় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। এরপর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, নগরবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ, কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজসহ জেলার ৬টি উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু করা হয়েছে পাঠদান।
সরকারি ঘোষণার পর থেকেই কয়েকদিন ধরেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমসহ বিভিন্ন জায়গা। এদিকে দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খোলায় খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিজভী হোসাইন উৎসব বলেন, অনেক দিন পর আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। বন্ধু ও স্যারদের সাথে দেখা হচ্ছে। খুবই ভালো লাগছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান শুরুর হওয়ার পর শহরের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস করছে। প্রত্যেকেই মাস্ক পরিধান করেছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারা তা অনুসরণ করবে। প্রথম দিনে উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও আশা করছি আগামীকাল থেকে আগের মত শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বেশি পাওয়া যাবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর