আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙ্গনে দিশেহারা বরিশালের বাবুগঞ্জের ছয় গ্রামের মানুষ। দফায় দফায় ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব অনেকে। এখনও অনেকে আছেন ভাঙ্গনের হুমকিতে। দ্রুত প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, হাট-বাজার, বাগান, কৃষি জমিসহ সবকিছু আড়িয়ালখাঁ’র গর্বে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছয় গ্রামের মানুষদের।
কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন নিবেদন করেও কোন ফল না পাওয়ার আক্ষেপ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। যদিও বাবুগঞ্জে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙ্গন প্রতিরোধে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল জেলা শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরের বাবুগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম লোহালিয়া ঘেষে বয়ে গেছে আড়িয়াল খাঁ নদ। এই গ্রামে দিনমজুর-শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের বসবাস। গত কয়েক বছরে এই গ্রামের অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে নদের গ্রাসে।একইভাবে নদের তীরবর্তী সিংহেরকাঠী, গাজীপুর, ভবানীপুর, রফিয়াদী ও আরজি-কালীকাপুরসহ আশপাশের গ্রামের ভূখণ্ড ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে আড়িয়াল খাঁ'র গর্ভে। দিশেহারা মানুষ সব কিছু হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের জমিতে বা রাস্তার পাশে।
স্থানীয় চাঁদপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান সবুজ বলেন, গত ১০ বছরে আড়িয়াল খাঁ’র ভাঙনে ওই ৬টি গ্রামের শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। আড়িয়াল খাঁ নদের গ্রাস থেকে বাবুগঞ্জের মানুষের সম্পদ রক্ষায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের কৃষিজমি, বাড়ি-ঘর, রাস্তা, বাজার ও ফেরিঘাট আড়িয়াল খাঁ নদের হুমকিতে আছে। পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এমপি ইতিপূর্বে ওইসব এলাকা পরিদর্শন করে একটি প্রকল্প প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে ওই প্রকল্প পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির
