নিজের উদ্যোগে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করল বগুড়া সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ২০২২ সালের দাখিল পরিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী জানায়, আমার ছোটবেলা হতেই পড়ালেখা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই আমার বিয়ের কথা চালাচালি হচ্ছিল। এখন আমাকে বিবাহ দিতে আমার মা বাবাকে আমি নিষেধ করি। তারপরও আমার বিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমি মর্মাহত হয়ে পরি। নিরুপায় হয়ে ঘটনাটি আমার মাদ্রাসার শিক্ষকে অবহিত করি।
সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মান্নান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর, শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছিলাম। উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপে শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ে হতে রক্ষা পেয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় সংশ্লিষ্ট মাদরাসার অধ্যক্ষের নিকট হতে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শিক্ষার্থীর নিজ বাড়ী সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার হিন্দুকান্দি গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পৌর সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর রিনা বেগম, অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান, শিক্ষক ফজলে রাব্বী, এ কে এম মকবুলার রহমান সোহেল , রেজাউল করিম, শ্যামা কান্ত ঘোষসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলায় বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশাসনের সার্বক্ষণিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন