রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় আমন মৌসুমে প্রায় ৩৩০০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। আমন ধান মূলত বৃষ্টি নির্ভর ধান। কৃষকদের সংকট মুহূর্তে সেচ সুবিধা প্রদান করেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গোদাগাড়ী উপজেলার বালিয়াঘাট্টা নামক স্থানে মহানন্দা নদীতে ১০টি পুকুরসহ মির্জাপুর খাড়ীতে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। মির্জাপুর খাড়ী হতে প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে সম্পূরক সেচ প্রদান করছে এবং তা চলমান রয়েছে।
এছাড়াও বিএমডিএ ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষে গোদাগাড়ী উপজেলায় পদ্মা নদীর সুলতানগঞ্জ, সারেংপুর ও হাটপাড়া নামক স্থানে পন্টুন স্থাপন করেছে এবং স্থাপিত পন্টুন হতে পানি উত্তোলন করে ১০টি পুকুর ও প্রায় ৪০ কিমি খালে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
ফরিদপুর গ্রামের কৃষক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রায় ৬৫ বিঘা জমিতে সেচের অভাবে শুধুমাত্র একটি ফসল হতো, এ সেচের জন্য জমিতে তিনটি ফসল হয়। এ ধরনের আরও প্রকল্প তৈরি করার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
গোদাগাড়ী বরেন্দ্র অফিসের সহকারি প্রকৌশলী মো. রফিকুল হাসান বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলায় ৭১৪টি গভীর নলকূপ এবং ৬০টি এলএলপি আছে। সবগুলো এলএলপি ও গভীর নলকূপ জরুরিভাবে চালু করে কৃষকদের আমন ধান চাষাবাদের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি সেচের কারণে কোন আমন ফসলের ক্ষতি হবে না।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির