নির্বাচনী পরিবেশ না থাকায় চলমান ইউপি নির্বাচন দলগতভাবে বর্জন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দল নির্বাচন বর্জন করলেও নগরকান্দার পাঁচটি ইউপিতে বিএনপির আটজন পদধারী ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়েছেন।
আগামী ১১ নভেম্বর নগরকান্দার নয়টি ইউনিয়নের সাথে ওই পাঁচটি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
যে পাঁচটি ইউনিয়নে বিএনপির নেতারা প্রার্থী হয়েছেন এর মধ্যে লস্করদিয়া ইউনিয়নেই বিএনপির চার নেতা প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া কোদালীয় শহীদ নগর, চরযশোরদী, তালমা ও ফুলসূতী ইউনিয়নে বিএনপির একজন করে প্রার্থী হয়েছেন।
নগরকান্দার লস্করদিয়া ইউনিয়নে বিএনপির যে চার নেতা প্রার্থী হয়েছেন তারা হলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আইউব মুন্সী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শওকত আলী শরিফ ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম।
লস্করদিয়া ইউনিয়নটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিএনপির মহাসচিব সাবেক সাংসদ প্রায়ত কে এম ওবায়দুর রহমানের বাড়ি লস্করদিয়াতে। ফরিদপুর-২ আসন থেকে ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সাতটি জাতীয় নির্বাচনে ওবায়দুর রহমান বিএনপি প্রার্থী হিসেবে তিনবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনবারই সাংসদ নির্বাচিত হন।
গত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে একমাত্র প্রার্থী নির্বাচিত এই লস্করদিয়া থেকে।
এ কারণে এ বছর বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও এই ইউনিয়ন থেকে উল্লেখিত চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
লস্করদিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শওকত আলী শরিফ বলেন, দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন, এলাকার লোক তাকে চায়, তিনি নির্বাচন না করলে তার সমর্থকদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতো। এজন্য তিনি নির্বাচন করছেন মূলত তার সমর্থকদের ধরে রাখার জন্য।
বিএনপির একজন করে প্রার্থী হয়েছেন কোদালীয় শহীদ নগরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুজ্জামান অনু, চরযশোরদীতে উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক বিষয়ক মোহাম্মদ রেজাউল আলম মিয়া, তালমায় উপজেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান এবং ফুলসূতীতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদ মো. মনিরুজ্জামান মিয়া।
কোদালীয় শহীদ নগর ইউনিয়নের উপজেলা বিএনপির সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুজ্জামান অনু বলেন, যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এতে সরকারের হস্তক্ষেপ জনগণ পছন্দ করে না। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে অভিমত ব্যক্ত করে রফিকুজ্জামান বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক য়ৈদ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে বিএনপি দলীয় ভাবে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে কথা বলে তাদের করণীয় নির্ধারণ করবেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল