ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি পাখির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ঠাকুরগাঁও বার্ড সোসাইটির উদ্যোগে ও এভিয়ান কমিউনিটির তত্ত্বাবধানে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বার্ড সোসাইটি সূত্রে জানা যায়, প্রদর্শনীতে ৪২ জন উদ্যোক্তা তাদের নিজস্ব ফার্মের বিদেশি পাখি প্রদর্শন করেন। এসব পাখি সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার এবং কবুতর এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
মেলায় ৫০ প্রজাতির পাঁচ শতাধিক পাখির প্রদর্শনী হয়। সবচেয়ে বেশি আছে কোকাটেল, ফিঞ্চ ও বাজরিগার। এছাড়া আছে বিভিন্ন প্রজাতির পায়রা। প্রতিটি খাঁচার সামনেই স্বেচ্ছাসেবক আছেন। পাখি দেখভালসহ দর্শনার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তারা।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান অনেক বছর ধরেই পাখি পালন করেন। তার সংগ্রহে আছে ২০০ পাখি। তিনিই এনেছেন প্রদর্শনীর কোকাটেলগুলো। মোহাম্মদ সাব্বির এনেছেন কয়েক জোড়া লাভবার্ড, বিরল গ্রে প্যারোট। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা পাঁচ বছর বয়সী ‘ভিক্টোরিয়া ক্রাউন পিজিয়ন’ নামে দুর্লভ একটি কবুতরের জাত দেখালেন মো. আসাদুজ্জামান।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জেলার অনেক তরুণ-যুবক বিদেশি পাখি পালন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের পোষা পাখির বাজার সৃষ্টি করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। আমরা মনে করছি, পাখি পালন করে বেকার যুবকেরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবেন।’
অ্যাভিয়েন কমিউনিটি অব বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফেরদৌস গালিব বলেন, ‘পাখি পোষা মানুষের চিরন্তন শখ। কিন্তু আমরা চাই বনের পাখি বনেই থাকুক। যে পাখি খাঁচায় জন্মে ও বড় হয়, আমরা সেগুলোই পালন করি। এ জেলা পাখালদের (যারা পাখি পালন করেন) জন্য নতুন জায়গা। ঠাকুরগাঁওয়ে এমন আয়োজন প্রথম হচ্ছে। পাখি পালন এখন একটি সেক্টরে রূপ নিয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই