ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর (উত্তর) ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের (শাখাইতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ভোট কেন্দ্রটি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন সেখানকার ভোটাররা। সারা বছর পানিবন্দী থাকা শাখাইতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রটি পরিবর্তন করে পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তরের জন্য দাবি জানিয়েছেন তারা।
এই ভোট কেন্দ্রটি স্থানান্তর করে পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপন করতে গ্রামবাসীর পক্ষে শাখাইতি গ্রামের মৃত মস্তু মিয়ার ছেলে মো. ছাদু মিয়া সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে পৃথক তিনটি আবেদন করেছেন।
তিনি লিখিত আবেদনে বলেন, শাখাইতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গ্রামের একপাশে অবস্থিত। বিদ্যালয়টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে নির্মিত, বিদ্যালয়ে কোনো মাঠ নেই, সারা বছর পানিবন্দী থাকা এই স্কুলে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। বিদ্যালয়টিতে পর্যাপ্ত কক্ষ নেই। বিদ্যালয়টিতে কক্ষ আছে মাত্র ৪টি। ভৌগলিক কারণসহ নানা কারণে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনের এখানে দায়িত্ব পালন করা কঠিন।
অপর দিকে পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়টি এলাকার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। ১৯৯৪ সালের আগ পর্যন্ত পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়টি ইউপি নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই বিদ্যালয়ে রয়েছে বিশাল মাঠ ও ২৫টি কক্ষ। উপজেলা পরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই কেন্দ্রটি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই বিদ্যালয়ে রয়েছে নির্বাচনী কার্যক্রমে নিয়োজিত ব্যক্তিদের থাকার সুব্যবস্থা।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। আবেদনটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টি আমি পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয়ে দুটি ভবন। বিদ্যালয়টি পানিবন্দী থাকলেও একটি ভবনে ভোট দেওয়ার সুযোগ আছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই