নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় কথিত প্রেমিকের যোগসাজশে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) তুলে নিয়ে, ৩ মাস আটকে গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে কামাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মূল আসামিরা এখনো ধরা পড়েননি।
গ্রেফতার আসামি বেগমগঞ্জ নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত জালাল আহমদের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বাদী হয়ে সোমবার সকালে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে একটি মহল মূল আসামিদের বাদ দিতে তদবির করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদুর রহমান দীপু ও মানবাধিকার কর্মীরা।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, মামলায় অভিযুক্ত আসামি কামালকে টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্কুলে যাওয়া-আসার সময় স্থানীয় ৪ বখাটে মামুন, কামাল, নাছের ও ফরহাদ তাকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ। এর আগে তাদের কথিত বন্ধু আবদুল্লাহ আল মামুন সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৬ আটস্ট মামুন তাকে মজুমদার হাটের উত্তর পাশে নাছেরের বাড়ির সামনে দেখা করার জন্য ডেকে নেন। এরপর মামুন, কামাল, নাছের ও ফরহাদ ৪জন মিলে তাকে অটোরিকশায় তুলে সোনাইমুড়ি উপজেলার ছাতারপাইয়া গ্রামে এক বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ছাত্রীটিকে ১ মাস আটকে রেখে চারজন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। তখন মামুন ও কামাল ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। এসব কথা কাউকে জানালে তাকে হত্যা ও ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তারা।
এরপর কামাল তাকে টাঙ্গাইলে এক আত্মীয়র বাড়িতে ২ মাস আটকে রাখেন। এরপর গত রবিবার সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে বাড়ি ফিরে ভুক্তভোগী কিশোরী। পরে সোমবার বেগমগঞ্জ থানায় মামলা মামুন, কামাল, নাছের ও ফরহাদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় মামলা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ