২৬ নভেম্বর, ২০২১ ২১:২৬

এক পরিবারেই ৫ প্রার্থী!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

এক পরিবারেই ৫ প্রার্থী!

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৮ নম্বর দক্ষিণ চরবংশী ইউপিতে চেয়ারম্যান-মেম্বার পদে একই পরিবারের ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আবদুর রশীদ মোল্লা (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), সদস্য পদে তার দুই ছেলে ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে তার দুই মেয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এরমধ্যে দুই ভাই একই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চলছে তাদের প্রতিযোগিতামূলক প্রচারণাও। 

জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ওই ইউপিতে রশিদ মোল্লাও দলের মনোনয়ন চান। সেখানে মনোনয়ন দেওয়া হয় বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সালেহ মো. মিন্টু ফরায়েজীকে। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী নির্বাচন করায় ১৯ নভেম্বর রশিদ মোল্লাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। 

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, রশিদ মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন মোল্লা (ফুটবল) ও দিদার হোসেন মোল্লা (ঘুড়ি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়ে তাহমিনা আক্তার ঝর্ণা সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ও জোসনা বেগম সংরক্ষিত ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। দু'জনের প্রতীক মাইক। একই পরিবারের ৫ জনের নির্বাচন নিয়ে এলাকায় ভোটারদের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। 
এছাড়াও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রশিদ মোল্লার ভাতিজা আবু সুফিয়ান মোল্লা (মোরগ) সদস্য পদে ভোট করছেন। 

স্থানীয়রা জানায়, রশিদ মোল্লাসহ তার পরিবারের ৫ জনই ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে তার দুই ছেলে একই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী। ভোট শেষে গণনা পর্যন্ত তারা আলোচনায় থাকবেন। সাধারণ ভোটাররা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা দারুনভাবে উপভোগ করছেন।
 
রাজ্জাক হোসেন, রিয়াজ হোসেনসহ কয়েকজন ভোটার জানায়, এ ওয়ার্ডে দুই ভাই জাকির ও দিদার মেম্বার পদে লড়ছেন। পাল্লা দিয়ে দু'জনে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের বাবা চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনিও নিজের জন্য ভোট চেয়ে মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। তাদের নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।  

কয়েকজন নারী ভোটার জানায়, দুই বোন সংরক্ষিত দুটি ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছেন। তারা যেমন আপন বোন, তেমনি তাদের প্রতিকেরও মিল রয়েছে। ভোটের ফলাফলে তাদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলবে। 

জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, জনগণ আমার পাশে আছে। মাঠে বিপুল সাড়া পেয়েছি। সুষ্ঠু ভোট হলে আমিই মেম্বার নির্বাচিত হব। 

দিদার হোসেন মোল্লা বলেন, ভোট দেওয়ার মালিক জনগণ। তাদের পরামর্শেই আমি নির্বাচনে নেমেছি। শেষ পর্যন্ত থাকবো। 

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ মোল্লা বলেন, দলের জন্য অনেক ত্যাগ রয়েছে। কিন্তু দল আমাকে মূল্যায়ন না করে জনবিচ্ছিন্ন প্রার্থী মনোনীত করেছে। জনগণের সাড়া পেয়ে ভোটের মাঠে নেমেছি। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।   

ছেলে-মেয়েদের নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে রশিদ মোল্লা বলেন, জনগণের সেবার জন্য তারা ভোটের মাঠে নেমেছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের প্রমাণিত করে তারা জনগণের সেবা করতে চায়। নির্বাচন হলো এর অন্যতম মাধ্যম। আমি তাদের উদ্যোগকে সমর্থন করেছি।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর