গাজীপুরের টঙ্গীতে স্কুলছাত্র হাবিবুর রহমান মুছাকে (১০) অপহরণের ৯ ঘন্টা পর ভোররাতে উদ্ধার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। অপহরণের পর মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করছিলো অপহরণ চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত মিনহাজ উদ্দিন (১৯) ও সুমন মিয়াকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের শেষে মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃতদের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, অপহৃত হাবিবুর রহমান মুছা উত্তর আউচপাড়ার হাসান মোল্লার বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করে আসছিল। সে খাঁ-পাড়া বিদ্যা নিকেতনের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। ঘটনার দিন সোমবার বিকেলে স্থানীয় রসুলবাগ এলাকায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাসায় ফিরছিল সে। মোল্লাবাড়ি এলাকায় পৌছলে অপহরণকারী মিনহাজ তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে তিলারগাতির দিকে নিয়ে যায়। পরে তাকে সুইচগিয়ার চাকু দেখিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে এবং মুখে কচটেপ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরে তাকে অটোরিকশায় করে বিভিন্নস্থানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে অপহরণকারী মিনহাজ ও সুমন একত্র হয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুছার বাবা মতিউর রহমানের মোবাইলফোনে কল করে বলে ‘আপনার ছেলেকে আমরা অপহরণ করেছি এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। অন্যথায় আপনার ছেলেকে আমরা প্রাণে মেরে ফেলবো।’ এই বলে ফোন কেটে দেয়।
পরে মুছার বাবা উপায়ান্তর না পেয়ে অপহরণকারীদের মোবাইলে ৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন এবং বাকি টাকা পরে দিচ্ছি বলে তাৎক্ষণিক টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. ইলতুৎ মিশ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. হাসিবুল আলম, সহকারি পুলিশ কমিশনার পীযূষ কুমার দে, টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম, এসআই কায়সার হাসানসহ প্রায় ২০ জনের একটি পুলিশের টিম পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কলেজগেট হাউজবিল্ডিং এলাকার জিয়াউর রহমানের বাসার ছাদ থেকে কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় মুছাকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, থানায় মামলা দায়ের শেষে অপহরণকারীদের গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম