বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নৌকার কর্মী রাজু আহমেদ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত বৃহস্পতিবার বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে তিনি ও তার বড় ভাই আমজাদ হোসেন ছুরিকাহত হন। এরপর তাদের শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর জখম আমজাদ হোসেন এখনো চিকিৎসাধীন। হতাহত দুই ভাই ও হামলাকারীরা প্রতিবেশী এবং উভয় পক্ষই নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের কর্মী।
এ ঘটনায় আহত আমজাদ হোসেন শুক্রবার বাদী হয়ে প্রতিবেশী ইউসুফ আলীকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে গাবতলী মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় ফেরদৌস নামের এক আসামিকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি নশিপুর ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে নয়টার দিকে নৌকার কর্মী রাজু ও তার ভাই আমজাদ কোলারবাড়ি গ্রামে বাড়ির পাশে বসে অন্যদের সঙ্গে নির্বাচনী আলাপ করছিলেন। এ সময় একই দলের কর্মী প্রতিবেশী কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বাগ্বিতন্ডা বাধে। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা রাজু ও আমজাদকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাহত করে পালিয়ে যান।
স্থানীয় লোকজন দুই ভাইকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজু আহমেদ মারা যান।
ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে মারা যাওয়া রাজু আহমেদের লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ