বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন থেকে ১৭ জনকে বহিষ্কারের আবেদন করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটের মাঠে কাজ করার অভিযোগে তাদের বহিষ্কারের আবেদন করা হয়। রবিবার সকালে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক আবেদনপত্রে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক আজাদ জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি নশরতপুর ইউপি নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট করছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী। যার প্রমাণ ইতিমধ্যে আমরা পেয়েছি। এ কারণে তাদের বহিষ্কারের জন্য উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত আবেদন পাঠানো হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করার মধ্য দিয়ে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে দল থেকে বহিষ্কৃত হবেন।
বহিষ্কার আবেদনের তালিকায় রয়েছেন- নশরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস ছাত্তার, সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মুক্তি মাহমুদ জুয়েল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম শখের, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সদস্য রেবতি মোহন সাহা, মাওলানা বেলাল হোসেন, আজিজার রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি বাদেশ আলী, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি রুবেল হোসেন, যুবলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ, ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি মুনছুর আলী, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম বাবু, ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুস সামাদ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক দুদু মিয়া।
অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য রেবতি মোহন সাহা বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগটি মিথ্যা। আমি আওয়ামী লীগের একজন পরিক্ষিত সৈনিক। এখনও নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করছি। শত্রুতামূলক ভাবে আমার নামটিও তালিকায় রাখতে পারে। কিন্তু আমি নৌকা জেতাতে কাজ করছি এবং শেষ পর্যন্ত করবো।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি রুবেল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমার নিকট আত্মীয় হওয়ায় তার সাথে চলাফেরা করি। এজন্য আমার বিরুদ্ধে তারা এমন অভিযোগ করছেন। তাছাড়া যিনি নৌকার প্রার্থী হয়েছেন তিনি একজন বিতর্কিত মানুষ। তার পরিবারের লোকজন আওয়ামী লীগ করে না। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুতরাং তার মতো প্রার্থীকে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। এ কারণে তার ভোট করছিনা। তবে নৌকার সাথে আমার দ্বন্দ্ব নেই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ কুদরত-ই এলাহী কাজল বলেন, দলীয় সীদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে কেউ কেউ বিএনপি ও সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ তাদের নামের তালিকা করে আমাদের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ওই সব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল