বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ভোটগ্রহন শেষ হয়েছে। তবে ভোট গ্রহনের সময় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নে কাউয়ামারী আপ্তার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ জনসহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় জাল ভোট দিতে সহায়তা করায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও এক প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটেছে। নিবার্চনে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দহগ্রাম, বুড়িমারি ও কুচলিবাড়ি ইউনিয়নে প্রার্থীদের সমর্থকদের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক ।
দহগ্রাম ইউনিয়নে জাল ভোটে সহায়তা করায় বঙ্গেরবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রেজানুল ইসলামকে প্রত্যাহার করেন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান ।
বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে আপ্তার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে আসলে ডাঙ্গাপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব (২০) আবুল হোসেনের ছেলে সুমন (১৯), মানিক প্রধানের ছেলে রাসেল প্রধান (২৫) পুলিশের হাতে আটক হন। এ সময় তাদের সহায়তা করায় কেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা এসআই মৃণাল কান্তিকে প্রত্যাহার করা হয়।
এছাড়া জাল ভোট দিতে এসে উপজোলার কামারেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ জন, বুড়ীমারী নসর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ জন, দহগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ জন এবং ললিতারহাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ জন আটক হন।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান ভোটে সংঘর্ষ ও জাল ভোটে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যারাই অনিয়মের চেষ্টা করেছে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ