কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে গত দুদিন যাবত বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ভোর থেকে কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে গোটা জনপদ। বৃষ্টির মত টিপটিপ করে সারা রাত ধরে কুয়াশা পড়ে সকাল পেরিয়ে রোদ উঠলে তা কমতে থাকে।
এছাড়াও অতিরিক্ত ঠান্ডায় হাসপাতালসূমহে ডায়রিয়া ও শীতজনিত রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যাদের অধিকাংশ শিশু। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে আরো তাপমাত্রা কমে আসবে বলে অফিসটি জানায়। সেইসাথে ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ঠান্ডার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে এখানাকার নিম্ন আয়ের মানুষজন রয়েছে শীতকষ্টে। প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন কাটছে জেলার দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজনের। এজন্য তাদের দাবি পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কথা স্বীকার করে বলেন, আগামী এক সপ্তাহ আরো তাপমাত্রা এ জেলায় কমবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম